আসল ও নকল টাকা চেনার উপায়
প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই হয়তো আসল ও নকল টাকার মধ্যে পার্থক্য কি তা বুঝতে পারেন না। যার ফলে আপনার অর্থনৈতিকভাবে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ এই নকল টাকার নোটগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়ে যে আসল-নকল টাকা চেনার উপায় জানা না থাকলে সাধারণ দৃষ্টিতে আপনি বুঝতে পারবেন না যে কোনটি আসল বা কোনটি নকল টাকার নোট।
বিশেষ করে বিভিন্ন বড় বড় উৎসবের সময় এই নকল টাকার নোট গুলো বাজারে ছড়ানো হয়। বিশেষত ঈদের আগে কেনাকাটায় প্রচুর অর্থ লেনদেন হয় এবং সবাই নতুন, চকচকে নোটের উপর আগ্রহী থাকেন। এই সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারন ক্রেতাদের আসল ও নকল টাকা না চেনার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই নকল নোট ধরিয়ে দেয়।
তাই অনাকাঙকিত অর্থনৈতিক লস থেকে ও এসকল অসাধু ব্যবসায়ীর হাত থেকে বাঁচতে আসল ও নকল টাকা চেনার উপায় সম্পর্কে জানা আবশ্যক।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আসল ও নকল টাকা চেনার পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে জেনে নিবো -
নকল টাকা চেনার উপায়
খসখসে পৃষ্ঠ
১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকাসহ প্রত্যেক ধরনের নোটের সামনে ও পেছন দুদিকের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান ও ৭টি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু-নিচুভাবে মুদ্রিত থাকে। ফলে হাত দিলে একটু খসখসে মনে হয়।
বৃত্তাকার ছাপ
নোটের ডান দিকে ১০০ টাকার ক্ষেত্রে তিনটি, ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে ৪টি ও এক হাজার টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু নিচু লাগে। এ বৈশিষ্ট্য নকল বা জালনোটে সংযোজন করা সম্ভব নয়।
অস্পষ্ট জলছাপ বা ওয়াটার মার্ক
জাল নোটের জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ আছে। যা ভালো করে খেয়াল করলে আলোর বিপরীতে স্পষ্ট দেখা যায়।