মাশরুমের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
মাশরুম যেটি ব্যাঙের ছাতা নামেই বেশি পরিচিত। অনেকেই হয়তো একারনে বা বিষাক্ত ভেবে খেতে চান না এটি। তবে মাশরুমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই অবগত নন।
সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং এটি খাওয়ার উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।
আজকের আর্টিকেলে মাশরুমের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
মাশরুম কি
মাশরুম হচ্ছে ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম পাওয়া গেছে। তবে সব ধরনের মাশরুম কিন্তু খাওয়া যায় না। বনে জঙ্গলে পাওয়া মাশরুম বিষাক্ত। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক বা নিজেদের চাষ করা মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। যেমনঃ বাটান, ওয়েস্টার ও পোর্টেবেলো ধরনের মাশরুম রয়েছে, যা খুবই জনপ্রিয়। তবে যেখানে সেখানে পাওয়া নয়, নিজে চাষ বা অর্গানিক মাশরুম খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
মাশরুমের পুষ্টিগুণ
মাশরুমের কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। এতে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে আরও আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, জিঙ্ক, মিনারেল, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি।
মাশরুমের উপকারিতা
অনেকেই আছেন যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত।মাশরুমে লো ক্যালোরি থাকায় তারা খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখতে পারেন। যারা পেশি বাড়াতে চান তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন। মাশরুম তাদের জন্য প্রোটিনের সেরা উৎস হতে পারে। এছাড়া মাশরুমে থাকে এক রকম অ্যান্টিবায়োটিক, পেনিসিলিন। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এছাড়াও মাশরুমের রয়েছে অনেক উপকারিতা। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস কমানো, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো, ক্যানসার ও টিউমার প্রতিরোধ এবং শিশুদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর উপকার পাওয়া যায়।